আমি চেয়েছিলাম কবিতা লিখতে;
লাল, নীল, সবুজ, হলুদ,
নানা রঙের কবিতা।
আমি চেয়েছিলাম পাখি হতে,
কাক, চিল, চড়ুই, বাবুই,
নানা রকম ডাক।
আমি চেয়েছিলাম দেশ-বিদেশ ঘুরতে;
এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, আমেরিকা,
কত রকমের মানুষ।
আমি চেয়েছিলাম সব কিছু জানতে;
ইতিহাস, ভূগোল, সাহিত্য, গণিত,
রসায়ন, ভৌতবিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞান।
পেয়েছি অনেক কিছুই।
কিন্তু কোনদিন বুঝতে পারিনি আমার ঠিক কি চাই।
Friday, November 4, 2011
And I Came Back
I was wandering alone;
The silent bard in me, as always,
Chipped in with his little voice,
"Hey, are you forgetting something?"
I looked around, visibly perplexed,
If not a little vexed,
At this sudden incursion.
But I failed to see anything, at least anything of importance.
I wondered aloud:
"I have nothing to take with me,
And am leaving for good."
The bard in me cooed,
Rather softly,
"Won't you show me your last poem?"
The silent bard in me, as always,
Chipped in with his little voice,
"Hey, are you forgetting something?"
I looked around, visibly perplexed,
If not a little vexed,
At this sudden incursion.
But I failed to see anything, at least anything of importance.
I wondered aloud:
"I have nothing to take with me,
And am leaving for good."
The bard in me cooed,
Rather softly,
"Won't you show me your last poem?"
Tuesday, November 1, 2011
নির্বাসিতা
দূরেই যদি যেতে চেয়েছিলে
তবে কাছে এলে কেন?
কেন তোমার হাতের ছোঁয়ায়
আমার জীবন উঠল ভরে,
আমার মন বাঁচতে শিখল নতুন করে?
কেনই বা নিলে নিজেকে দূরে সরিয়ে
বারবার আশা-নিরাশার দোলাচলে
সবকিছু অস্পষ্ট, অনিশ্চিত করে দিয়ে?
ঠিক আছে।
গেছই যখন, কিছু আর বলব না।
জানাব না কোন আপত্তি, কোন অভিযোগ।
অবিচারের প্রতিকার চাইতে যাব না কোন বিচারকের কাছেও।
কিন্তু হে প্রিয়তমা, হে নিরুপমা, এটুকু শুধু রেখো মনে,
আমার চাইতে বেশি করে তোমায় আর কেউ চায়নি জীবনে।
তবে কাছে এলে কেন?
কেন তোমার হাতের ছোঁয়ায়
আমার জীবন উঠল ভরে,
আমার মন বাঁচতে শিখল নতুন করে?
কেনই বা নিলে নিজেকে দূরে সরিয়ে
বারবার আশা-নিরাশার দোলাচলে
সবকিছু অস্পষ্ট, অনিশ্চিত করে দিয়ে?
ঠিক আছে।
গেছই যখন, কিছু আর বলব না।
জানাব না কোন আপত্তি, কোন অভিযোগ।
অবিচারের প্রতিকার চাইতে যাব না কোন বিচারকের কাছেও।
কিন্তু হে প্রিয়তমা, হে নিরুপমা, এটুকু শুধু রেখো মনে,
আমার চাইতে বেশি করে তোমায় আর কেউ চায়নি জীবনে।
কায়া
তোমার স্তনে চুম্বন এঁকে দিচ্ছে আমার ঠোঁট,
একটু আগেই যে ঠোঁট ছিল তোমার চোখের পাতায়।
বুকের মাঝে রক্ত ছলাৎ-ছল,
ফোটে অক্ষর মোর কবিতার খাতায়।
কাল রাতের লিপস্টিক তোমার অধরে এখনো তাজা,
লেগে আছে চুলে কেতকীর মৃদু সৌরভ,
নেমে আসে ঠোঁট ধীরে তব নাভিমূলে,
সামনে বিপুল অজানার গৌরব।
ছুঁয়েছে এ ঠোঁট দুর্গম গিরিবর্ত্ম,
ছোঁবে আরো জানি দুস্তর কন্দর,
খুঁজেছে এ চোখ তোমার ভ্রূপল্লবে
দুরাশার মাঝে আশাকে নিরন্তর।
অপাঙ্গে তার সুদূরের হাতছানি
শোনায় আমাকে রাত-মোহানার বাণী ...
একটু আগেই যে ঠোঁট ছিল তোমার চোখের পাতায়।
বুকের মাঝে রক্ত ছলাৎ-ছল,
ফোটে অক্ষর মোর কবিতার খাতায়।
কাল রাতের লিপস্টিক তোমার অধরে এখনো তাজা,
লেগে আছে চুলে কেতকীর মৃদু সৌরভ,
নেমে আসে ঠোঁট ধীরে তব নাভিমূলে,
সামনে বিপুল অজানার গৌরব।
ছুঁয়েছে এ ঠোঁট দুর্গম গিরিবর্ত্ম,
ছোঁবে আরো জানি দুস্তর কন্দর,
খুঁজেছে এ চোখ তোমার ভ্রূপল্লবে
দুরাশার মাঝে আশাকে নিরন্তর।
অপাঙ্গে তার সুদূরের হাতছানি
শোনায় আমাকে রাত-মোহানার বাণী ...
দুঃখ
সবচেয়ে বড় দুঃখ কি জানো?
হঠাৎ করে খুব চেনাজানা একটা কিছু মনে করতে না পারা ...
তুমি হয়তো তাকে অনেক অনেক দিন ধরেই চেনো।
হয়তো বা চেনাজানার পরিধি ছাড়িয়েও রয়েছে তার অবাধ গতিবিধি, কিন্তু
হঠাৎ করে তবু সেই অতি চেনাজানা কিছু-টি-কেই মনে করতে পারছি না কেন?
রয়েছে কি সে আমার মনের গোপন আঁধারে?
রয়েছে কি সে আমার হারানো ডায়েরীর কোন পাতায়?
না কি সে রয়েছে আমার কোনদিন-কাউকে-না-বলা দুঃস্বপ্নময় রাত্রিগুলোর জানালায় দাঁড়িয়ে?
কে জানে? কেই বা বলতে পারে?
কিন্তু তবু এটুকু জেনে রেখো,
যদিও আজ তাকে মনে পড়ছে না কিছুতেই,
তবু একদিন তারই জন্যে দেখেছি শত দুঃস্বপ্ন,
বুনেছি হাজারদুয়ারী আশা-নিরাশার জাল,
চেয়েছি আত্মঘাতী হতে লক্ষ লক্ষ বার।
হঠাৎ করে খুব চেনাজানা একটা কিছু মনে করতে না পারা ...
তুমি হয়তো তাকে অনেক অনেক দিন ধরেই চেনো।
হয়তো বা চেনাজানার পরিধি ছাড়িয়েও রয়েছে তার অবাধ গতিবিধি, কিন্তু
হঠাৎ করে তবু সেই অতি চেনাজানা কিছু-টি-কেই মনে করতে পারছি না কেন?
রয়েছে কি সে আমার মনের গোপন আঁধারে?
রয়েছে কি সে আমার হারানো ডায়েরীর কোন পাতায়?
না কি সে রয়েছে আমার কোনদিন-কাউকে-না-বলা দুঃস্বপ্নময় রাত্রিগুলোর জানালায় দাঁড়িয়ে?
কে জানে? কেই বা বলতে পারে?
কিন্তু তবু এটুকু জেনে রেখো,
যদিও আজ তাকে মনে পড়ছে না কিছুতেই,
তবু একদিন তারই জন্যে দেখেছি শত দুঃস্বপ্ন,
বুনেছি হাজারদুয়ারী আশা-নিরাশার জাল,
চেয়েছি আত্মঘাতী হতে লক্ষ লক্ষ বার।
প্রলাপ
ঘুম নেই চোখে;
অনেক দিনের মত্ত আবেগে পেরিয়ে এসেছি অনেকটা পথ।
বন্ধু, সহযাত্রী যারা ছিল
পিছিয়ে পড়েছে অনেক আগেই।
রুদ্ধশ্বাসে আমিই শুধু এগিয়ে গেছি একা,
সম্পূর্ণ একা।
ক্লান্তিতে দু চোখ এসেছে ভরে,
পায়ের পাতা হয়ে গিয়েছে অসাড়,
মন হারিয়ে ফেলেছে ভাবনার শক্তি, তবু
মৃগতৃষ্ণার মোহে যেমন ছুটে চলে মরুযাত্রী,
তেমনই আমিও ছুটে গেছি দুর্নিবার দুঃস্বপ্নের আকর্ষণে।
এমনই হয়তো যেতে হবে আরো বহুদূর, আরো অনেক দিনের অনেকটা পথ।
হয়তো হারাব আরো অনেক বন্ধুকে, হয়তো নেশার ঘোরে তীব্র অনিদ্রাকে
নিঃসীম নিদ্রা মনে হবে; তবু এগিয়ে যাব। থামব না, থামতে পারব না।
অনেক দিনের মত্ত আবেগে পেরিয়ে এসেছি অনেকটা পথ।
বন্ধু, সহযাত্রী যারা ছিল
পিছিয়ে পড়েছে অনেক আগেই।
রুদ্ধশ্বাসে আমিই শুধু এগিয়ে গেছি একা,
সম্পূর্ণ একা।
ক্লান্তিতে দু চোখ এসেছে ভরে,
পায়ের পাতা হয়ে গিয়েছে অসাড়,
মন হারিয়ে ফেলেছে ভাবনার শক্তি, তবু
মৃগতৃষ্ণার মোহে যেমন ছুটে চলে মরুযাত্রী,
তেমনই আমিও ছুটে গেছি দুর্নিবার দুঃস্বপ্নের আকর্ষণে।
এমনই হয়তো যেতে হবে আরো বহুদূর, আরো অনেক দিনের অনেকটা পথ।
হয়তো হারাব আরো অনেক বন্ধুকে, হয়তো নেশার ঘোরে তীব্র অনিদ্রাকে
নিঃসীম নিদ্রা মনে হবে; তবু এগিয়ে যাব। থামব না, থামতে পারব না।
Monday, October 31, 2011
স্বপ্ন
স্বপ্ন দেখছিলুম ... একটা নয়, অনেকগুলো, সারা রাত ধরে।
টুপটাপিয়ে ঝরে পড়া শিশিরের মত, এই মনের ফাঁকা মাঠে
তারা এসেছিল, খেলেছিল, আবার কখন যেন চলেও গিয়েছিল অন্ধকারে।
দেখতে পাইনি যে লিখে রাখব, শুনতেও পাইনি যে মনে রাখব;
ভোরের দিকে যখন পুব আকাশে আলোর অস্পষ্ট আভাস,
তখন কার যেন একটা কান্নার আওয়াজ শুনেছিলাম
অনেক অনেক দূরের একটা পাড়া থেকে।
সেই আওয়াজের সঙ্গে মিশে ছিল
কুকুরের ডাক, বুড়ো বটগাছের পাতার খসখসানি আর
সকালের প্রথম কাকটার কর্কশ আর্তনাদ;
ঘুমিয়ে পড়েছি আবার, অন্ধকারে রাস্তা পালটে গিয়েছে কখন কে জানে।
মাঝদুপুরে আবার মুখে পড়েছে তীব্র রোদ্দুর, উঠে তখন হাতড়েছি পাগলের মত,
কিন্তু পাইনি আর খুঁজে।
মনটা রইল ভার হয়ে, আবার একটা দিনের মত।
টুপটাপিয়ে ঝরে পড়া শিশিরের মত, এই মনের ফাঁকা মাঠে
তারা এসেছিল, খেলেছিল, আবার কখন যেন চলেও গিয়েছিল অন্ধকারে।
দেখতে পাইনি যে লিখে রাখব, শুনতেও পাইনি যে মনে রাখব;
ভোরের দিকে যখন পুব আকাশে আলোর অস্পষ্ট আভাস,
তখন কার যেন একটা কান্নার আওয়াজ শুনেছিলাম
অনেক অনেক দূরের একটা পাড়া থেকে।
সেই আওয়াজের সঙ্গে মিশে ছিল
কুকুরের ডাক, বুড়ো বটগাছের পাতার খসখসানি আর
সকালের প্রথম কাকটার কর্কশ আর্তনাদ;
ঘুমিয়ে পড়েছি আবার, অন্ধকারে রাস্তা পালটে গিয়েছে কখন কে জানে।
মাঝদুপুরে আবার মুখে পড়েছে তীব্র রোদ্দুর, উঠে তখন হাতড়েছি পাগলের মত,
কিন্তু পাইনি আর খুঁজে।
মনটা রইল ভার হয়ে, আবার একটা দিনের মত।
Sunday, August 14, 2011
জন্মদিন
বৃষ্টি পড়ছিল বাইরে অঝোরধারে;
এমনই পড়েছে আরো কত দিন, কত যুগ, কত জন্ম ধরে।
এসেছে এমনই কত দীর্ঘ অবসর, ক্লান্ত চরণছায়ে।
এমনই দুকূলহারা বাণী, নব বসন্তের মৃদুমন্দ বায়ে,
নিকট-হতে-যেন-হঠাৎ-দূরে-চলে-যাওয়া এক প্রিয় বান্ধবীর মতো।
এসেছে ভাবনার রাশি, স্বপ্ন শত শত।
রেখে গেছে পদছিহ্ন এই মনের নরম সৈকতে, চায়নি ফিরে
একবারও। যবে নতুন দিনের নতুন সূর্য গগনশিখরে
উদ্ভাসি উঠেছে হাসি, দিকে-দিগন্তে খুঁজেছে সে
একটি কোমল হাতের স্পর্শ, একটি আঁখির উন্মেষ;
বারে বারে সে হয়েছে আহত। চেতনার অন্তিম ক্ষণে
বিলগ্ন হয়েছে বাসনা, নিভৃত কক্ষে নিশা নির্নিমেষ।
এসো আজ তবে, ভুলে আর সব কিছু যাই পুনর্বার সেই পুরানো নতুনের খোঁজে।
বৃষ্টি পড়ছে আজ বাইরে, অঝোরধারে।
এমনই পড়েছে আরো কত দিন, কত যুগ, কত জন্ম ধরে।
এসেছে এমনই কত দীর্ঘ অবসর, ক্লান্ত চরণছায়ে।
এমনই দুকূলহারা বাণী, নব বসন্তের মৃদুমন্দ বায়ে,
নিকট-হতে-যেন-হঠাৎ-দূরে-চলে-যাওয়া এক প্রিয় বান্ধবীর মতো।
এসেছে ভাবনার রাশি, স্বপ্ন শত শত।
রেখে গেছে পদছিহ্ন এই মনের নরম সৈকতে, চায়নি ফিরে
একবারও। যবে নতুন দিনের নতুন সূর্য গগনশিখরে
উদ্ভাসি উঠেছে হাসি, দিকে-দিগন্তে খুঁজেছে সে
একটি কোমল হাতের স্পর্শ, একটি আঁখির উন্মেষ;
বারে বারে সে হয়েছে আহত। চেতনার অন্তিম ক্ষণে
বিলগ্ন হয়েছে বাসনা, নিভৃত কক্ষে নিশা নির্নিমেষ।
এসো আজ তবে, ভুলে আর সব কিছু যাই পুনর্বার সেই পুরানো নতুনের খোঁজে।
বৃষ্টি পড়ছে আজ বাইরে, অঝোরধারে।
Sunday, July 17, 2011
মায়া
দূর হতে দূরে গিয়েছিলে সরে, পাই নি তোমার দেখা;
অস্তসূর্যকরপ্রপাতে ছিল পড়ে স্মৃতিলেখা।
অলস দিনের বিজন বেলায় মুগ্ধ আবেশে যবে
রয়েছিনু চেয়ে তব মুখপানে অপূর্ব অনুভবে,
বুঝি নি তখন ওগো মায়াময়ী ক্ষণিক কালের স্রোতে
কলহাস্যের ক্বণিত রাগিণী নীড়-নিঃশেষ ব্রতে
হবে হাহুতাশ, দীর্ঘ প্রবাস, নিঠুর মৌনী-মাঝে,
বজ্র-সমান হানিবে হৃদয় বিপুল বিষম-সাজে।
প্রথম প্রণয় অনাবিল হায়, যাতনা দুর্নিবার,
বিচ্ছেদব্যথা ভুলিছে নিদ্রা, নিঃসীম পারাবার।
দিন যায় ক্রমে এক হতে এক, চিন্তা মিশায় পলে,
দীর্ণ নিশার চকিত চাহনি দেখে উপহাসছলে।
অবশেষে যবে মানিনু হৃদয়ে এ এক স্বপ্ন ঘোর,
সহসা স্বপ্ন মিলায় আশীষে, দেখি মম চিতচোর।
অস্তসূর্যকরপ্রপাতে ছিল পড়ে স্মৃতিলেখা।
অলস দিনের বিজন বেলায় মুগ্ধ আবেশে যবে
রয়েছিনু চেয়ে তব মুখপানে অপূর্ব অনুভবে,
বুঝি নি তখন ওগো মায়াময়ী ক্ষণিক কালের স্রোতে
কলহাস্যের ক্বণিত রাগিণী নীড়-নিঃশেষ ব্রতে
হবে হাহুতাশ, দীর্ঘ প্রবাস, নিঠুর মৌনী-মাঝে,
বজ্র-সমান হানিবে হৃদয় বিপুল বিষম-সাজে।
প্রথম প্রণয় অনাবিল হায়, যাতনা দুর্নিবার,
বিচ্ছেদব্যথা ভুলিছে নিদ্রা, নিঃসীম পারাবার।
দিন যায় ক্রমে এক হতে এক, চিন্তা মিশায় পলে,
দীর্ণ নিশার চকিত চাহনি দেখে উপহাসছলে।
অবশেষে যবে মানিনু হৃদয়ে এ এক স্বপ্ন ঘোর,
সহসা স্বপ্ন মিলায় আশীষে, দেখি মম চিতচোর।
Thursday, April 28, 2011
Resurrection
Drowning, drowning and drowning
Into an inky void that leaves no stones unturned.
Groping, groping and groping
For a soothing touch that leaves my mind unburned.
Falling, falling and falling
Through the sky that knows no bounds on the upside.
Sailing, sailing and sailing
Through an ocean of misery that swells a drunken tide.
...
And yet, and yet, and yet,
I do see a tiny speck of light,
Over there yonder, I'm not sure how far,
But it's certainly there, timid and contrite.
Pulsing rather unsteadily like a momentary candle,
As storm gathers around. Let's go and bring it back!
Into an inky void that leaves no stones unturned.
Groping, groping and groping
For a soothing touch that leaves my mind unburned.
Falling, falling and falling
Through the sky that knows no bounds on the upside.
Sailing, sailing and sailing
Through an ocean of misery that swells a drunken tide.
...
And yet, and yet, and yet,
I do see a tiny speck of light,
Over there yonder, I'm not sure how far,
But it's certainly there, timid and contrite.
Pulsing rather unsteadily like a momentary candle,
As storm gathers around. Let's go and bring it back!
Thursday, April 7, 2011
Translation of Tagore Song "Amar Sokolo Dukher Prodeep" by Partha Mukherjee
A prayer for all my agonies of all my days, I will offer, at the end, Till then it is unsaid, my prayer to be told. When the birds in evening shadow set all away to the shelter of their nests ? When the bell for evening prayer is tolled, the last of this life’s light will be bold, Then it will be said : my prayer to be told.
The vortex of memories of yore bind me in knots of deep despair,
Welling up within me this hold. When through spout of a sacred censer one by one the stars all appear, Flying free across a boundless horizon, a vision of the sunset will be my preparation, Then it will be said: my prayer to be told.
by Partha Mukherjee
The vortex of memories of yore bind me in knots of deep despair,
Welling up within me this hold. When through spout of a sacred censer one by one the stars all appear, Flying free across a boundless horizon, a vision of the sunset will be my preparation, Then it will be said: my prayer to be told.
by Partha Mukherjee
Saturday, April 2, 2011
জাগরণ
অনেকদিনের আগে,
এসেছিলে তুমি রাত্রির শেষে, প্রভাতের নবরাগে;
মুখকমলের অরুণছটায় বিভাসিয়া হৃদিপদ্ম,
শুধায়েছিলে গো সকরুণ স্নেহে তিমিরসূদন শরতের গেহে
রিক্ত-ঋক্থ অনবধানীরে চলিতে অমিয়-সদ্ম।
ছিনু ঘুমঘোরে স্বপনের ডোরে আমি অভিমান-মত্ত।
মোহের আবেশে অনৃতা লীলায় দীর্ঘসূত্রী, কাজের অছিলায়
জাগরণক্ষণে পাশরি সকলি, পরম-আনন্দ-সত্য।।
অনেকদিনের পরে,
আজিকে আবার এসেছ জননী, সন্ধ্যা-আঁধার ঘরে;
দিকে দিকে দেখি ঘোর তমিস্রা, আসিছে নামিয়া নিঠুর দংষ্ট্রা,
হতাশায় ভয়ে হরিছে নিদ্রা, নিদারুণ অবসরে।
প্রসারিয়া হাত শুধালে মাতঃ, "আসিয়াছি আমি, ভয় কী তাত,
ইচ্ছা কি আছে যেতে মোর সনে অজানার অভিসারে?"
Inspired by "Adeste Fideles"
এসেছিলে তুমি রাত্রির শেষে, প্রভাতের নবরাগে;
মুখকমলের অরুণছটায় বিভাসিয়া হৃদিপদ্ম,
শুধায়েছিলে গো সকরুণ স্নেহে তিমিরসূদন শরতের গেহে
রিক্ত-ঋক্থ অনবধানীরে চলিতে অমিয়-সদ্ম।
ছিনু ঘুমঘোরে স্বপনের ডোরে আমি অভিমান-মত্ত।
মোহের আবেশে অনৃতা লীলায় দীর্ঘসূত্রী, কাজের অছিলায়
জাগরণক্ষণে পাশরি সকলি, পরম-আনন্দ-সত্য।।
অনেকদিনের পরে,
আজিকে আবার এসেছ জননী, সন্ধ্যা-আঁধার ঘরে;
দিকে দিকে দেখি ঘোর তমিস্রা, আসিছে নামিয়া নিঠুর দংষ্ট্রা,
হতাশায় ভয়ে হরিছে নিদ্রা, নিদারুণ অবসরে।
প্রসারিয়া হাত শুধালে মাতঃ, "আসিয়াছি আমি, ভয় কী তাত,
ইচ্ছা কি আছে যেতে মোর সনে অজানার অভিসারে?"
Inspired by "Adeste Fideles"
Tuesday, March 29, 2011
সাঁঝবাতি
সন্ধে নামে ধীরে;
গাছের ছায়ে, পাতার ফাঁকে ফাঁকে, নদীর তীরে।
ভেসে আসে দূর হতে কল-কোলাহল, বয়ে অজানার সুর।
উড়ে গেল একঝাঁক পাখী ঐ, কূজন তাদের কিবা সুমধুর।।
একা নিশ্চুপে, জানালায় বসে ভাবি অর্থ এর।
দিকে-দিগন্তরে অরণ্যে-প্রান্তরে সীমা অসীমের।।
সাঁজালের গন্ধ আসে ভেসে, জ্বলে ওঠে প্রদীপ, বাজে শাঁখ;
তুলসীমঞ্চে বধূ প্রণাম করে, কারেই বা পাঠায় তার ডাক?
কেটেছে কি দিন তারি ভাবনায়, নৃত্যছন্দে তার?
পেরেছি কি বইতে আপন মানসে সে স্বর্ণভার?
হয়েছে কি চকোর চিত্ত পলকের তরে অকারণে?
উঠেছে কি চমকি শোণিত বারেক অক্ষর-উচ্চারণে?
দেখেছি কি জনে ও বিজনে অনেকের মাঝে একের প্রণতি?
বহুলের মাঝে বিপুল বেদনা এনেছে সহসা নবীন ভকতি?
***
সন্ধে হয়ে এল। লাল সূর্যটা ঐ টুপ্ করে ডুবে গেল দিগন্তের ওপারে। উত্তর পেলুম,
"যো মাং পশ্যতি সর্বত্র সর্বং চ ময়ি পশ্যতি।
তস্যাহং ন প্রণশ্যামি স চ মে ন প্রণশ্যতি।।"
গাছের ছায়ে, পাতার ফাঁকে ফাঁকে, নদীর তীরে।
ভেসে আসে দূর হতে কল-কোলাহল, বয়ে অজানার সুর।
উড়ে গেল একঝাঁক পাখী ঐ, কূজন তাদের কিবা সুমধুর।।
একা নিশ্চুপে, জানালায় বসে ভাবি অর্থ এর।
দিকে-দিগন্তরে অরণ্যে-প্রান্তরে সীমা অসীমের।।
সাঁজালের গন্ধ আসে ভেসে, জ্বলে ওঠে প্রদীপ, বাজে শাঁখ;
তুলসীমঞ্চে বধূ প্রণাম করে, কারেই বা পাঠায় তার ডাক?
কেটেছে কি দিন তারি ভাবনায়, নৃত্যছন্দে তার?
পেরেছি কি বইতে আপন মানসে সে স্বর্ণভার?
হয়েছে কি চকোর চিত্ত পলকের তরে অকারণে?
উঠেছে কি চমকি শোণিত বারেক অক্ষর-উচ্চারণে?
দেখেছি কি জনে ও বিজনে অনেকের মাঝে একের প্রণতি?
বহুলের মাঝে বিপুল বেদনা এনেছে সহসা নবীন ভকতি?
***
সন্ধে হয়ে এল। লাল সূর্যটা ঐ টুপ্ করে ডুবে গেল দিগন্তের ওপারে। উত্তর পেলুম,
"যো মাং পশ্যতি সর্বত্র সর্বং চ ময়ি পশ্যতি।
তস্যাহং ন প্রণশ্যামি স চ মে ন প্রণশ্যতি।।"
Monday, March 21, 2011
কবিতার খাতা
বসন্ত আজ এলো মনের মাঝে।
দিকে দিকে খুশীর হাওয়া গুনগুনিয়ে বাজে;
দেখি খুঁজে ঘরের কোণে কোথা
লুকিয়ে আছে মোর কবিতার খাতা?
ঝেড়ে-ঝুড়ে বাহির করি তারে,
স্নেহের বশে দেখি বারে বারে।
লেখার পরে আছে লেখা কত,
পংক্তির পরে পংক্তি শত শত।
ভাবি বসে কে লিখলে এসব?
মনের মাঝে উঠলো কাহার রব?
রইনু পড়ে কিসের অন্বেষণে?
কারেই বা আজ খুঁজি অন্যমনে?
ভেবে ভেবে গেল বেলা, আঁধার হল ঘর,
দিনের শেষে সূর্যিমামার রং দিল উত্তর।
দিকে দিকে খুশীর হাওয়া গুনগুনিয়ে বাজে;
দেখি খুঁজে ঘরের কোণে কোথা
লুকিয়ে আছে মোর কবিতার খাতা?
ঝেড়ে-ঝুড়ে বাহির করি তারে,
স্নেহের বশে দেখি বারে বারে।
লেখার পরে আছে লেখা কত,
পংক্তির পরে পংক্তি শত শত।
ভাবি বসে কে লিখলে এসব?
মনের মাঝে উঠলো কাহার রব?
রইনু পড়ে কিসের অন্বেষণে?
কারেই বা আজ খুঁজি অন্যমনে?
ভেবে ভেবে গেল বেলা, আঁধার হল ঘর,
দিনের শেষে সূর্যিমামার রং দিল উত্তর।
Subscribe to:
Posts (Atom)