Friday, December 25, 2015

শ্রেষ্ঠা

আমার চোখে তুই-ই বেস্ট;
আর কাউকেই চাইনা। তোর হরিণচোখ,
তোর স্বেদবিন্দুস্ফুট নাসাপুট, তোর
ভারাবনত শ্রোণীদেশ, আর তোর
ঠোঁটের লিপস্টিক। এই সবই ভালো।
হোক না ভাষা বিভিন্ন, থাক না স্থান
ও কালের ব্যবধান, যতক্ষণ তুই
আছিস আমার কাছে, মন ততক্ষণই
থাকে ভালো। ভীষণ, ভীষণ ভালো।
তোর সঙ্গেই খেলব অনাদিকালের খেলা,
তোর সঙ্গেই করব রচনা নব-নব প্রবন্ধের,
আর তোর সঙ্গেই দেব জন্ম দুই অপত্যের।
অপেক্ষা এখন শুধুই সময়ের। বলছি
আবারও, আমার চোখে তুই-ই শ্রেষ্ঠা।

ভবিষ্যদ্বাণী

দাঁড়াশ সাপের মত জড়িয়ে ধরব তোকে;
আমার লিঙ্গ ঢুকে যাবে তোর যোনিতে।
ঘেমে উঠবে সারা শরীর, শ্বাস-প্রশ্বাসে
জেগে উঠবে কাম, চুমুতে চুমুতে পাগল
হয়ে যাবি তুই; হৃত্স্পন্দন যাবে বেড়ে,
নখের আঁচড়ে জেগে উঠবে আমার পিঠে
সুদীর্ঘ বলিরেখা। তোর জন্যে মেয়ে, জন্মাব
শত-সহস্র-কোটি-বার, তোর জন্যে ছেড়ে
দেব পরস্ত্রীকাতরতা, তোর জন্যে দেব বিসর্জন
মদ-বিড়ি-গাঁজা-সিগারেট আর আরো আছে
যত আদিম রিপু। ছেড়ে দেব তুই যা আমায়
বলবি ছাড়তে। ঘুরিয়ে দেব মোড় ছয় রিপুর।
তুই এখন শুধু চলে আয় আমার কাছে,
আমার বুকে, আমার পিঠে, আমার কোলে,
তাড়াতাড়ি ঢুকে পড় আমার অন্দরমহলের
অন্তরে, আমার শূন্য রাজপ্রাসাদের পাটরাণী
হয়ে ওঠ - সমস্ত জীবন দিয়ে বরণ করি তোকে।
আমাকে আলিঙ্গন-চুম্বন কর্, হৃদয় পূর্ণ হোক কন্যা
তোর সুগন্ধে, চিত্ত হোক সমাহিত পূতপুষ্পদলে,
মথিত-পিষ্ট-চূর্ণ হোক দুঃস্বপ্নেতিহাস দিব্যশষ্পভূমে।
ফুটে উঠুক পারিজাত আজ আমার চতুর্দিকে।

Sunday, December 20, 2015

পূর্বাভাস

কবিরা বুঝতে পারে।
তুই কি আমায় বুঝিস,
সুরঙ্গমা?
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের
দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে
যখন মাঝে মাঝেই
খুঁজে পাই না
কথা বলার কাউকে,
তুই কি তখন
থাকিস আমারই আশেপাশে?
যখন কাউকে করা
যায় না বিশ্বাস,
জানি তুই আছিস
তখন আমাকে ঘিরে,
আমারই চারপাশে।
কবিরা বুঝতে পারে।