Thursday, January 22, 2015

অরক্ষণীয়

তোকে কাছে পেতে চাই।
আরো কাছে, আরো নিবিড়ভাবে।
চোখে চোখ, হাতে হাত, বুকে বুক।
তোকে চুমু খাবো।
কপালে, ঠোঁটে, চিবুকে, স্তনে।
ঘ্রাণ নেব তোর চুলে জড়ানো রজনীগন্ধার।
কাছে আয় আরো,
ছড়িয়ে পড়ুক তোর যোনি-কস্তুরী ঘরের দিগ্বিদিকে।
আজ মনের বাধা-বন্ধ, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূরে ছুঁড়ে ফেলে
উপভোগ কর পূর্ণমর্দিত ভগাঙ্কুরের তীব্র তৃপ্তি।
অসহনীয় কামরস ভিজিয়ে দিক বিছানার চাদর,
রসনা-দ্বৈরথ-সুবাস পবিত্র করুক আসঙ্গ-আশ্লেষ,
পৌঁছোক মন উত্তরমেঘের অসীম অমরাবতীতে,
করুক ভেদ বিরহিণী যক্ষ-প্রিয়ার শ্রোণীমধ্যারণ্য।

মনখারাপ

ভালো লাগছে না কিছু; আকাশে মেঘের ঘনঘটা,
তুষারকণার ঝাপটায় জানালার কাঁচ অস্পষ্ট,
চোখের কোণে জমেছে অনেকটা জল অনেক
দিনের স্মৃতিভারে। বয়স বেড়ে চলে, এক দিন
এক দিন, এক পল এক পল করে। নিঃসাড় মন
খুঁজে চলে বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বন, শেষ
খড়কুটোর অবিমিশ্র আশ্বাস। সর্পে রজ্জু, নাকি
রজ্জুতে সর্প, কোনটা বেশি স্পৃহণীয় - এ কথা
হয়ে ওঠে বাতুলের অবান্তর প্রলাপ। সুরঙ্গমা,
তোমার কথা আজকে বড়ই মনে পড়ছে; মনকে
অনেকবার বারণ করেছি, বিশ্বাস করো। অনেক
করেছি চেষ্টা সব ভুলে নতুন করে সব কিছু শুরু
করার। কিন্তু নাচার মন তোমাকেই চাইছে যে;
একবার কি হতে পারে দেখা তোমার সঙ্গে?

প্রাত্যহিক

বৌদি, তোমরা কি ভালো আছো?
মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে তোমাদের কাছে
চলে যেতে; তোমাদের সঙ্গে কথা বলতে।
এই নিঃসঙ্গ, একলা জীবন মাঝে মাঝেই
বড় অসহ্য মনে হয়; নিষ্ফল, ব্যর্থ মনে হয়
চারিদিকের যত প্রাণপণ প্রয়াস পৃথিবী
পরিবর্তনের। কি দরকার ছিল এত সবের,
বলতে পারো বৌদি? ছেলেদের কাঁদতে নেই,
কাঁদলে লোকে নিন্দে করবে, ধিক্কার তুলবে
চতুর্দিকের শেয়াল-শকুনেরা। ভালো ও মন্দ
পারিনি বুঝতে আজও। তোমরা পেরেছো কি?
আমাকে কেউ পারল না বুঝতে; মন খারাপের
রোজনামচা লিখে লিখে লেখনী আমার ক্লান্ত।
দেখা পেলাম পথে যাদের, সবাই গেল ছেড়ে।
এখন কোথায় যাব, বলতে পারো?