Tuesday, July 7, 2015

রমণ

তোর বুকে মাথা গুঁজে রাখি;
ইচ্ছে করে শুই তোর সাথে।
শৃঙ্গারে মাতাল হয়ে যাই,
সম্ভোগ-কূটে লুপ্ত হোক চেতনা,
তীব্র কামগন্ধ ছড়িয়ে পড়ুক
সারা ঘরে। রজনীগন্ধার দল
সাক্ষী থাকুক, আসুক নব
প্রাণের আনন্দবেদন, আজ
রাতের জন্য তুই হয়ে যা
আমার তিষ্যরক্ষিতা, হ কারুবাকী
শুধু আমারই জন্যে। মন-প্রাণ-যৌবন
দিয়ে করি উপভোগ তোকে;
হৃদয়েশ্বরী তুই, হে কিরণময়ী,
সৃষ্টিনিশার একচ্ছত্র কর্ত্রী।

সুবাসিনী

এখানে মেয়েদের গন্ধ অন্যরকম;
বুকের খাঁজে খাঁজে জমে স্তন্যের অনুরাগ।
কোমল বাহুর সরল আশ্লেষে জাগায়
জন্মান্তরের অনুভূতি; সুরভি তার
ফুল্লকুসুম-হেন। মিলে যায় শরীরে শরীর,
মনে মন, আত্মায় আত্মা, অরূপে রূপ।
চুম্বনের অন্ত্যস্বাদে জেগে থাকে মৃদু
তরঙ্গ সমুদ্র-শোণিতের। এস নারী,
কাছে এস, তোমার কেশদাম হোক
শঙ্খমণ্ডিত প্রবালপ্রাচীর, চরণকমলে
মত্স্যকন্যার ইঙ্গিত, হাতের কঙ্কণ বর্ণময়,
কুচযুগে ভূমাতৃকার অবভাস, যোনিদ্বার
অপাবৃত, বিকচ শ্রোণীদেশে নিবিড় অরণ্য।
সার্থক হোক সৃষ্টি তব মোর গর্ভাধানে।

Monday, July 6, 2015

শঙ্খচূড়

তোকে সাপ ছোঁবে;
সাপ ছোঁবে চিরকাল।
জংলা পাতায় ঘুম,
অশরীরী নিঃঝুম।
সবুজ ঘাসের মাঠ,
ধানক্ষেতে ফিসফিস,
হলুদ পাখির শিস।
ছবি হয়ে গেল ছোবল;
কলমা শেখের কবল।
আকাশের গানে মেঘ,
সাদা-কালো-ছেয়ে রং।
অন্ধকারেতে হাজার চোখের রোশনাই;
তারাবাতি, নাকি জোনাকি?
ঠোঁটে চুমু খেল সাপ।

অবিস্মরণীয়া

মেয়ে, এই সহজ কথাটা বুঝতে পারিস না কেন তুই?
তোকে ছেড়ে আমার চলবে না।
আমি ঘুরেছি অনেকটা পথ আশায় আশায়,
ক্লান্ত পায়ে, শ্রান্ত দেহে। ব্যথায়-কষ্টে মন
হয়েছে অবশ, নিঃসাড়; একটুখানি শান্তির লোভে
আমি হন্যে হয়ে ঘুরেছি দোরে দোরে।
তুই কি এখনো আমায় বুঝবি না?
আমাকে কবে বুঝবি তুই?
তোর কি মন বলতে কিছু নেই রে?
কেন তুই পালিয়ে বেড়াস এমন করে?
কোথায় থাকিস সারাটা দিন? কি করিস?
কোথায় যাস? ঘুরিস কার সঙ্গে?
আয় না একটু কাছে, বোস না একটু পাশে,
রাখি তোর হাতে হাত, তোর চোখে চোখ,
আর শুনি একমনে তোর দিনের বিবরণ।