Tuesday, March 29, 2011

সাঁঝবাতি

সন্ধে নামে ধীরে;
গাছের ছায়ে, পাতার ফাঁকে ফাঁকে, নদীর তীরে।
ভেসে আসে দূর হতে কল-কোলাহল, বয়ে অজানার সুর।
উড়ে গেল একঝাঁক পাখী ঐ, কূজন তাদের কিবা সুমধুর।।
একা নিশ্চুপে, জানালায় বসে ভাবি অর্থ এর।
দিকে-দিগন্তরে অরণ্যে-প্রান্তরে সীমা অসীমের।।
সাঁজালের গন্ধ আসে ভেসে, জ্বলে ওঠে প্রদীপ, বাজে শাঁখ;
তুলসীমঞ্চে বধূ প্রণাম করে, কারেই বা পাঠায় তার ডাক?
কেটেছে কি দিন তারি ভাবনায়, নৃত্যছন্দে তার?
পেরেছি কি বইতে আপন মানসে সে স্বর্ণভার?
হয়েছে কি চকোর চিত্ত পলকের তরে অকারণে?
উঠেছে কি চমকি শোণিত বারেক অক্ষর-উচ্চারণে?
দেখেছি কি জনে ও বিজনে অনেকের মাঝে একের প্রণতি?
বহুলের মাঝে বিপুল বেদনা এনেছে সহসা নবীন ভকতি?

***

সন্ধে হয়ে এল। লাল সূর্যটা ঐ টুপ্‌ করে ডুবে গেল দিগন্তের ওপারে। উত্তর পেলুম,

"যো মাং পশ্যতি সর্বত্র সর্বং চ ময়ি পশ্যতি।
তস্যাহং ন প্রণশ্যামি স চ মে ন প্রণশ্যতি।।"

Monday, March 21, 2011

কবিতার খাতা

বসন্ত আজ এলো মনের মাঝে।
দিকে দিকে খুশীর হাওয়া গুনগুনিয়ে বাজে;
দেখি খুঁজে ঘরের কোণে কোথা
লুকিয়ে আছে মোর কবিতার খাতা?
ঝেড়ে-ঝুড়ে বাহির করি তারে,
স্নেহের বশে দেখি বারে বারে।
লেখার পরে আছে লেখা কত,
পংক্তির পরে পংক্তি শত শত।
ভাবি বসে কে লিখলে এসব?
মনের মাঝে উঠলো কাহার রব?
রইনু পড়ে কিসের অন্বেষণে?
কারেই বা আজ খুঁজি অন্যমনে?
ভেবে ভেবে গেল বেলা, আঁধার হল ঘর,
দিনের শেষে সূর্যিমামার রং দিল উত্তর।